মঙ্গলবার সকালে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যা সোমবারের তুলনায় কম।
তবে, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছেন। তলিয়ে গেছে এসব উপজেলার বিভিন্ন আন্তঃসড়কের বেশকিছু অংশ। বিঘ্নিত হচ্ছে জরুরি যোগাযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলী জমি, ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু।
এদিকে নগরীর সোবহানিঘাট, উপশহর, মাছিমপুর, কাজিরবাজারের শতাধিক বাড়ীঘর ও দোকানপাটের পানি নামতে শুরু করেছে। জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, পানীয়সহ অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মেঘালয় পুঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এ অঞ্চলের নদীগুলোর পানি আরও কমবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেট জেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৩৭টি ইউনিয়ন কন্যা কবলিত হয়েছে। এসব বন্যা কবলিত অঞ্চলে ২১৫ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা নগদ এবং প্রায় ৯শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘কানাইঘাট ও ভারতের মেঘালয়ে প্রবল বর্ষণের কারণে সুরমা নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অবশ্য এখন পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ১৯ থেকে ২২ জুলাই সিলেটে ভারী বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা রয়েছে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় খাদ্য, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদ।